শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:৪৭ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক।। বাকেরঞ্জের নলুয়ায় আবুল কাশেম মোল্লা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারি প্রধান শিক্ষক নিয়োগের নামে একাধিক প্রার্থীর নিকট থেকে প্রায় ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে বিদ্যালয়ের সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি তপন মোল্লার বিরুদ্ধে।
বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর বিভিন্ন প্রার্থীদের চাকরি দেয়ার আশ্বাস দিয়ে সে প্রত্যেকের কাছে মোটা অংকের ঘুষ দাবি করে। কয়েকজনের কাছ থেকে এভাবে ঘুষ নিয়ে যে সবচেয়ে মোটা অংকের টাকা দিয়েছে তাকেই নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ অন্যান্য প্রার্থীদের। সূত্র জানায়, পশ্চিম নলুয়া গ্রামের সামসুদ্দিন মৃধার ছেলে নাসির মাস্টারকে আবুল কাশেম মোল্লা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারি প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার প্রস্তাব দেয় তপন মোল্লা। প্রস্তাবের সাথে সাথে তপন নিয়োগ বাবদ ৭ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করে। নাসির বিভিন্নভাবে ম্যানেজ করে গত ৫জানুয়ারী ৫ লাখ টাকা দিয়ে তপন মোল্লাকে সহকারি প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার অনুরোধ করেন। এ সময় তপন ৫ লাখ নিয়ে ওই সহকারি প্রধান শিক্ষক পদে নাসিরকে নিয়োগ দেয়ার আশ্বাস দেয়। অপরদিকে দুমকির আঃ খালেকের কাছ থেকে ওই একই পদে নিয়োগ দেয়ার আশ্বাস দিয়ে তপন মোল্লা সাড়ে ৪ লাখ টাকা ঘুষ নেয়। ঘুষ নিয়ে নাসির মোল্লার মত খালেককেও ওই পদে নিয়োগ দেয়ার আশ্বাস দেয়।
কিন্তু নাসির ও খালেকেও কাছ থেকে ঘুষ নিলেও সাড়ে ৮ লাখ টাকা ঘুষের বিনিময়ে মধ্য নলুয়া গ্রামের আঃ বারেক হাওলাদারের ছেলে আলামিন হাওলাদারকে নিয়োগ দিয়েছে তপন মোল্লা। বিষয়টি জানাজানি হলে গত ৫ এপ্রিল নিয়োগ বোর্ডে বসে আঃ খালেকের রোশানলে পড়ে তপন মোল্লা।
এ সময় সবার সামনে বসেই তপন সাড়ে ৪লাখ টাকা মধ্যে ১ লাখ টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হন। এছাড়া বাকি টাকার চেক দিয়ে দেন। খালেক চেক নিয়ে টাকা তুলতে ব্যাংকে গেলে তপনের এ্যাকাউন্টে ওই পরিমান টাকা না থাকায় সে টাকা তুলতে ব্যর্থ হয়। অপরদিকে নাসির তার ৫ লাখ টাকা ফেরত চাইলে তপন তাকে খুন জখমের হুমকি দেয়।
তপন মোল্লার ঘুষ বাণিজ্যের বিষয়টি নিয়ে পুরো এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এতে বিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে বলে অনেকে তপনের উপর ক্ষিপ্ত হয়। এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানান, আমি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হলেও ম্যানেজিং কমিটির তৎকালীন সভাপতি তপন ঘুষ বাণিজ্য করতে আমাকে বাদ দিয়ে সব কিছু করেছে।
ঘুষের বিষয়টি আমিও জানি। আমার সামনেই তপন খালেককে ঘুষের দেয়া ১ লাখ টাকা ফেরত দেয়। আবুল কাশেম মোল্লা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির বর্তমান সভাপতি নোমান মোল্লা জানান, তপন মোল্লার ঘুষ বাণিজ্যের কারনে বিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট হতে দেয়া যাবে না। এনিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
Leave a Reply